নুরুল হুদা নামে আমাদের পাড়ায় এক লোক আছে যে গরু বাজারে যেতে চায় না কোরবানি ঈদে, কারন একবার সে গরু কিনতে গিয়ে পকেটমারের হাতে সব টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল তারপর থেকে পাড়ার কেউ একজন গরু কিনলে ভাগ দেয়ার মতো সুযোগ আছে কিনা জানতে চায় বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
নুরুল
হুদার
বুদ্ধিটা
আমি
কাজের
লাগিয়েছি
সুইজারল্যান্ডে
এসে। পাশের এপার্টমেন্টের দম্পতির [ লাউরা আর আলেক্স]
কাছে
জানতে
চেয়েছি
তোমরা
কি
তোমাদের
ইন্টারনেট(
ওয়াইফাই)
পিনকোডটা
আমার
সাথে
শেয়ার
করবে
তাহলে
তোমাদের
ও
লাভ
আমারও
লাভ। আমি তোমাদের বিলের অর্ধেক দিব।[
ভেবেছিলাম
ওদের
আরো
কিছুক্ষণ
বুঝাতে
হবে
কিন্তু
আলেক্সের
উত্তর
শুনে
অবাক
হলাম
যে
সে
আমার
আগের
ভাড়াটিয়ার
সাথেও
শেয়ার
করেছে,
তার
মানে
সুইজারল্যান্ডে
নুরুল
হুদার
অভাব
নাই]
রাজী হবার পর নিয়ম হচ্ছে তার লেটার বক্সে প্রতিমাসে ৫০ ফ্রাঙ্ক একটা খামের ভিতর দিয়ে দেয়া।
এমনি
ভাবে
আমি
গত
দুই
বছরে
প্রতি
মাসে
৫০
ফ্রাঙ্ক
করে
বাঁচিয়েছি। তো গত তিনদিন ধরে বাসায় নো নেটওয়ার্ক এক্সেস দেখাচ্ছে, বাধ্য হয়ে পাসের ফ্লাটে বেল চাপতেই লাউরা বেরিয়ে এসে জানতে চাইল কি চাই, আমি বললাম সমস্যার কথা।
সে
আমাকে
বলল
তার
বয়
ফ্রেন্ডের(
আলেক্সের)
সাথে
ছাড়াছাড়ি
হয়ে
গেছে
তাই
এই
অবস্থা।
আমি খুব অবাক হয়ে জানতে চাইলাম বয় ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক আপ হবার সাথে ইন্টারনেটের কি সম্পর্ক? সে বলল তারা দুইজন মিলে বিভিন্ন বিলিং ভাগাভাগি করে দেয় তার মাঝে টিভির বিল আর গ্যাস তার ভাগে ইন্টারনেট ও ময়লার বিল তার বয় ফ্রেন্ডের ভাগে।
এমন
কি
ইন্টারনেট
বিল
কতো
তাও
সে
জানেনা
তার
কোন
ফেইস
বুক
টুক
নেই
এবং
সে
ইন্টারনেটের
ঝামেলা
পছন্দ
করেনা
[ আমি
মনে
মনে
বললাম
খাইছে
আমারে]
কারন
সে
পেইন্টার
দিনভর
বিভিন্ন
বিল্ডিঙে
রং
দেয়
সন্ধ্যায়
আয়েশ
করে
মারিজুয়ানা
টানে। গল্প শেষে মুখ কালো করে ফিরে আসব এমন সময় বলে দাড়াও আমার নতুন বয় ফ্রেন্ডকে একটা ফোন করে দেখি সে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে কিনা, আর তোমার সাথে শেয়ার করবে কিনা।
(একবার
ভাবভছিলাম
এক
বয়
ফ্রেন্ড
যেতে
না
যেতে
তিন
দিনের
মাথায়
আরেক
জন?
পরে
মনে
করলাম
প্রশ্নটা
করা
ঠিক
হবেনা
তাছাড়া
কাছাকাছি
উত্তর
আমি
জানি)
কিঞ্চিৎ
আসার
আলো
দেখতে
পেয়ে
দুয়া
দুরুদ
যা
ছোট
বেলায়
শিখেছিলাম
এক
এক
করে
পড়তে
শুরু
করলাম।
আমারও দুয়া পড়া শেষ সে এসে বলল ডিসেম্বারের প্রথম সপ্তার শেষের দিনে পাবা একই দামে!( হয়তোবা দুয়া দুরুদ ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে নাই তাই ডাইরেক্ট একশন) ধন্যবাদ দিয়ে ‘ইট ওয়াজ ভেরি কাইন্ড অফ ইউ’ বলে চলে এসেছি।আগামী সপ্তাহটা আমার জন্য ক্রিটিক্যাল কারন লো ব্যান্ড উইদথ এর ফ্রি নেটওয়ার্ক বারান্দায় গেলে পাওয়া যায় কিন্তু তাপমাত্রা তিন চারের কাছাকাছি তাই বেশিক্ষণ থাকা যায়না। ভাল ভাল লেখকেদের প্রকাশিত গল্প গুচ্ছের বেশির ভাগেরই ম্যুরাল থাকে কিন্তু আমার গল্প গুলা খুব এলেবেলে। সব আশপাশের ঘটে যাওয়া সাধারন ঘটনা তাই ম্যুরাল পাওয়া খুব কঠিন (আমি নিজেও পাইনা। শুধু আজকের লেখার ঘটনাটা দিয়ে একটা মেসেজ দিতে চাই যা আমার নিজস্ব ধারনার উপর তৈরি। আর এই ধারনাটা হচ্ছে
আমারও দুয়া পড়া শেষ সে এসে বলল ডিসেম্বারের প্রথম সপ্তার শেষের দিনে পাবা একই দামে!( হয়তোবা দুয়া দুরুদ ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে নাই তাই ডাইরেক্ট একশন) ধন্যবাদ দিয়ে ‘ইট ওয়াজ ভেরি কাইন্ড অফ ইউ’ বলে চলে এসেছি।আগামী সপ্তাহটা আমার জন্য ক্রিটিক্যাল কারন লো ব্যান্ড উইদথ এর ফ্রি নেটওয়ার্ক বারান্দায় গেলে পাওয়া যায় কিন্তু তাপমাত্রা তিন চারের কাছাকাছি তাই বেশিক্ষণ থাকা যায়না। ভাল ভাল লেখকেদের প্রকাশিত গল্প গুচ্ছের বেশির ভাগেরই ম্যুরাল থাকে কিন্তু আমার গল্প গুলা খুব এলেবেলে। সব আশপাশের ঘটে যাওয়া সাধারন ঘটনা তাই ম্যুরাল পাওয়া খুব কঠিন (আমি নিজেও পাইনা। শুধু আজকের লেখার ঘটনাটা দিয়ে একটা মেসেজ দিতে চাই যা আমার নিজস্ব ধারনার উপর তৈরি। আর এই ধারনাটা হচ্ছে
‘
মানুষের
তৈরি
কিছু
নিয়ম
কানুন
দিয়েই
“আইন” নামে শব্দটার উৎপত্তি যেটা কখনো সামাজিক কখনো রাজনৈতিক কখনো গোত্রীয় কিংবা ধর্মীয়।
সময়
বদলায়
কিন্তু
সময়ের
সাথে
সমানুপতিক
হারে
আইন
বদলায়
না
বিশেষ
করে
ধর্মীয়
আইনের
পরিবর্তনের
হার
খুব
ধীরগতি
সম্পন্ন
(হয়তোবা
স্থির)। এতে করে আমার কিছু যায় আসেনা, কিন্তু খারাপ লাগে তখনি যখন দেখি লাউরার মতো চরিত্র গুলোর মতো এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মীয় এবং সামাজিক আইন গুলোকে বাদামের খোসার মতো করে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয় আবার এই একই পৃথিবীর বিরাট একটা শ্রেণীর মানুষ আইনের ফাঁদে পড়ে ধুকে ধুকে কষ্ট পায়’
No comments:
Post a Comment