Wednesday, July 27, 2011

পরিবেশ নিয়ে উচ্চ শিক্ষাঃ কোথায় আছে স্কলারশিপ?

‘পরিবেশ’ শব্দটি দিয়ে অনেক কিছু কভার করা যায় যাদের মাঝে পানি সম্পদ- জলবায়ু পরিবর্তন- ভূগোল-কৃষি সহ অনেক কাছাকাছি বিষয় রয়েছে। আসুন জেনে নেই কোথায় কোথায় আছে স্কলারশিপ,

স্কলারশিপের নামঃ [VLIR]
দেশঃ বেলজিয়াম
টাকার পরিমানঃ ১০৫০ ইউরো(প্রতিমাসে)+বউ থাকলে (৬০) ইউরো+ পোলাপান থাকলে (৬০)ইউরো
বাড়তি সুবিধাদিঃ স্বাস্থ্য ভাতা ফ্রি, প্রতি বছর নিজ দেশে বেড়াতে যাবার জন্য একটি করে রিটার্ন টিকিট.
মাস্টার্স অপশনঃ আছে
পি এইচ ডি অপশনঃ আছে
কোথায় পাব বিস্তারিতঃ [এই লিংকে দেখুন]

স্কলারশিপের নামঃ [Yousef Jameel Scholarship]
দেশঃ জার্মানি
মাস্টার্স অপশনঃ [আমার জানা নেই]
পি এইচ ডি অপশনঃ আছে
টাকার পরিমানঃ ১৩৫০ ইউরো(প্রতিমাসে)+বউ থাকলে ১৩৯ ইউরো+ পোলাপান থাকলে ১৩৯ ইউরো
বাড়তি সুবিধাদিঃ স্বাস্থ্য ভাতা ফ্রি, প্রতি বছর নিজ দেশে বেড়াতে যাবার জন্য একটি করে রিটার্ন টিকিট
কোথায় পাব বিস্তারিতঃ [এই লিংকে দেখুন]


স্কলারশিপের নামঃ IPSWAT
দেশঃ জার্মানি
টাকার পরিমানঃ ৭৯০ ইউরো(প্রতিমাসে)+বউ থাকলে (*) ইউরো+ পোলাপান থাকলে (*)ইউরো
বাড়তি সুবিধাদিঃ স্বাস্থ্য ভাতা ফ্রি, প্রতি বছর নিজ দেশে বেড়াতে যাবার জন্য একটি করে রিটার্ন টিকিট
মাস্টার্স অপশনঃ আছে
পি এইচ ডি অপশনঃ আছে
কোথায় পাব বিস্তারিতঃ [এই লিংকে দেখুন]

স্কলারশিপের নামঃ DAAD
দেশঃ জার্মানি
টাকার পরিমানঃ ৭৯৫ ইউরো(প্রতিমাসে)+বউ থাকলে (২৭৬) ইউরো+ পোলাপান থাকলে (১৮৫)ইউরো
বাড়তি সুবিধাদিঃ স্বাস্থ্য ভাতা ফ্রি, ডিগ্রি শেষে দেশে যাবার ফ্রি টিকিট
মাস্টার্স অপশনঃ আছে
পি এইচ ডি অপশনঃ আছে
কোথায় পাব বিস্তারিতঃ [এই লিংকে দেখুন]

Saturday, July 16, 2011

ভেকেশনে সুইজারল্যান্ড [পর্ব দুই]

গত পর্বে আপনাদের সেলেভ মাউন্টেনে নিয়ে যাব বলেছিলাম প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি আপনাদের ইউথ হস্টেলে অনেকদিন ফ্রোজেন করে রাখার জন্য, আসলে কিছুই করার ছিলনা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাডার বসানোর কাজে পাহাড়ে উঠা নামা করতে গিয়ে ছোট বেলার তৈলাক্ত বাঁশে উঠা নামা করা বান্দরটার মত অবস্থা হয়ে গিয়ে ছিল।
যাক তাহলে, চলেন যাই সেলেভ মাউন্টেনে । তার আগে গতকাল যে ইয়ুথ হস্টেলে থেকেছেন ওখানে পরের দিনের সকালের নাস্তাটা ফাউ[মাগনা], মাগনা পেলে আলকাতরাও নাকি খাওয়া যায়, তাই আলকাতরা মনে করে পাউরুটির সাথে সাজানো জেলির বোতল থেকে জেলি নিয়ে ঘষতে থাকেন মন মত। এবার চলেন রেল ষ্টেশন কিংবা রিভ(শপিং স্ট্রিট) থেকে ৮ নাম্বার বাস ধরে শেষ স্টেশনে চলে যাই।
নামার পর আপনাকে অল্প একটু হেঁটে সুইস-ফ্রান্স বর্ডার পার হতে হবে, ফ্রান্স সীমান্তে পা রাখা মাত্রই আপনি কেবলকার দেখতে পাবেন। কেবল কারে চড়ে পাহাড়ে উঠতে আপনাকে ১৩ ফ্রাঙ্ক দিয়ে টিকিত কাটতে হবে। উঠা হয়ে গেলে চলেন ঝটপট কটা ছবি তুলে নেই,
Seleveসুপার ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স থাকলে আপনি পুরো জেনেভা শহরটাকে ফ্রেমে করে নিয়ে যেতে পারবেন। এবার পিছনে ফিরে দেখেন ইউরোপের সব চেয়ে বড় পর্বত[ মন ব্ল] দেখা যায়।
Mont Blancওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স না থাকলে একটু কঠিন হয়ে যাবে পুরো পর্বতটা ফ্রেমে আনা, আমার বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে এনেদিতে পারি তবে শর্ত আছেঃ ঢাকা গেলে শাহবাগের মোড়ে আলগা পাত্তি আর দুধ চিনি বাড়াইয়া একটা চা খাওয়াইতে হবে। বেশ খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর চলেন একটা ফ্রেঞ্চ ডিশ ট্রাই করা যাক। খাওয়া দাওয়া শেষ, আর থেকে কি লাভ, চলেন এবার নতুন কোন ট্যুরিস্ট স্পটে যাই, আজ একটু নৌকা চড়া যাক তারপর বোটানিকেল গার্ডেনের বিরল সব ক্যাকটাস দেখবো, গাছপালা ভালো না লাগলে চলেন স্কাইলাইন এরিয়াটা ঘুরে আসি।
Skyline..প্রথম দিন লেকের যে পাঁড় দিয়ে হেটেছিলেন চলেন আজ অন্য পাঁড় দিয়ে হাটা যাক। হরেক রকমের গোলাপ দেখতে পাবেন, সন্ধ্যার পর গলাপের সাথে গোলাপিদেরও দেকতে পাবেন। গোলাপিরা “ভু যেত সল সে সোয়া ?” বললে আপনি ‘নো মেরছি’ বলে হাসি মুখে হেঁটে চলে যান, একটু হাঁটলেই দুটো পার্ক দেখতে পাবেন। পার্ক গুলো পার হবার পর বেশ নিরব, এখানে টুরিস্টদের তেমন একটা ভীর নেই, পার্কের পাশে যে আইছক্রিমের দোকানটা আছে ওখান থেকে একটা আইছক্রিম কিনে চলেন লাইট পোস্টটার কাছে কিছুক্ষণ বসে জিরিয়ে নেই।
Light Post
তবে এখানে কিঞ্ছিত নজরের হেফাজত করতে হবে। আমি হাজী বংশের পুলা তাই কালো সানগ্লাস পরে বসে থাকি
Swim :)
কাল আমরা একটা জায়গা খুঁজে বের করব যেখানে সাঁতার কাটতে টাকা লাগেনা, আজ থাক, আজ আপুরা সাঁতার কাটুক। জেনেভা শহরের চাঁদ মামি খুব মায়াবি উপভোগ করতে থাকুন রাত ১১টা পর্যন্ত, কারন ১১টার পর লাইট পোস্টের গেইট বন্ধ করে দিবে। ১১টার পর চলেন হোটেলে ফিরে যাই। কাল আমরা জেনেভা লেকে সাঁতার কাটব
Moon Light at Geneva Lake [ তবে শরম-টরম থাকলে হোটেলে রেখে আসতে হবে]